Tag Archives: https://ablogbd.blogspot.com/

শনি গ্রহের ১০ টি অবাক করা তথ্য

শনি বা saturn সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ, দূরত্বের দিক দিয়ে এর অবস্থান ষষ্ঠ। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ থেকে শনি গ্রহ একটু ব্যতিক্রম। হেয়ার চারদিকে ঘিরে থাকা আশ্চর্য রিং বা বলয় অন্যান্য গ্রহ থেকে এক ইউনিক লোক দিয়েছে। যার কারণে শনি গ্রহ, The jewel of the solar system. বা সৌরজগতের রত্ন বলা হয়ে থাকে ।চলুন সৌরজগতের মোস্ট বিউটিফুল গ্রহ সুমনের সম্পর্কে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য জানা যাক:
১/ শনির নামকরণ 
শনি গ্রহের নামকরণ করা হয় প্রাচীন যুগের রোমানীয়া ঈশ্বরের নামে যিনি আরেক রোমানীয়া ঈশ্বর জুপিটারের পিতা ছিলেন। তথ্যটি প্রথম রেকর্ড করা হয় অষ্টম শতাব্দীতে।

২/ আয়তন 

সনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এটা পৃথিবীর থেকে প্রায় দশ গুণ প্রশস্ত। শনি গ্রহ এতই বড় যে, এইটি অনায়েসে ৭৫০ টি পৃথিবী একসাথে এর ভেতরে ধারণ করতে পারবে।

৩/ গ্যাসীয় গ্রহ

শনিকে একটি গ্যাসীয় বলের সাথে তুলনা করা যায়। কারণ এত বড় গ্রহ হওয়া সত্ত্বেও পুরোটা জুড়ে শুধুমাত্র গ্যাস। শনিতে কোন সলিড জায়গা নেই যেখানে আপনি পদার্পণ করতে পারবেন না। শনি গ্রহ প্রধানত হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা ভরপুর ।

৪/ শনি গ্রহ পানিতে ভাসতে পারে

শনি গ্রহ শুধুমাত্র গ্যাস দ্বারা আবৃত এবং এর ঘনত্ব পানির চেয়েও কম। তাই আপনি যদি এমন একটি বড় পাত্র তৈরি করতে পারেন যেখানে শনি গ্রহ টি রাখা যায় এবং পাত্রটি যদি পানি দ্বারা পূরণ করতে পারেন তাহলে দেখতে পারবেন শনি গ্রহ পানিতে ভাসছে।

৫/ শনির রিং বা বলয়

শনির চারদিক থেকে ঘিরে থাকা এর রিং বা বলয় একে সৌরজগতের ইউনিক গ্রহ হিসেবে পরিচিতি দেয়। আপনি যখন ছবিতে এর রিং গুলো দেখবেন আপনি হয়ত ভাববেন এগুলো কোন সলিড পদার্থ দ্বারা তৈরি, কিন্তু আসলে তা না। শনির ৭ টি গ্রুপে ৩০+ টি রিং রয়েছে। শনির রিংগুলো তৈরি হয়েছে চারপাশের ময়লা-আবর্জনা দ্বারা। শনি গ্রহ এত দ্রুত ঘুরছে যে, এর চারপাশের পাথর, বরফ এবং অন্যান্য ময়লা ঘূর্ণনের ফলে রিং এর মত তৈরী করে ফেলেছে।

৬/ শনির চাঁদ

এখন পর্যন্ত শনিতে ৬৭ টি চাঁদ আবিষ্কৃত হয়েছে। সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটানে শনিতে অবস্থিত। শনি গ্রহের এইসব উপগ্রহের প্রাউড অনার।

৭/ টাইটানে উড়তে পাড়া

টাইটান শনির সবচেয়ে বড় চাঁদ বা উপগ্রহ। টাইটানের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি খুবই দুর্বল এবং এর বায়ুমণ্ডল খুবই হালকা। যার ফলে আপনি টাইটানে অনায়েসেই পাখির মতো উড়তে পারবেন। ব্যাপারটা সত্যিই খুব মজাদার…।

৮/ দ্রুততর আবর্তন

সোলার সিস্টেম বৃহস্পতি গ্রহের পরেই শনি গ্রহ অক্ষের এর উপর সবচাইতে দ্রুত গতিতে আবর্তন করেন। এত বড় গ্রহ হওয়া সত্বেও এটি তার নিজের অক্ষের উপর আবর্তন করতে মাত্র ১০ ঘন্টা ৩৪ মিনিট সময় লাগে যেখানে পৃথিবীতে লাগে ২৪ ঘন্টা। এটি ৬২০০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতিতে এর নিজের অক্ষের উপর আবর্তন করেছে।

৯/ সো ফাস্ট, সো স্লো

শনি গ্রহ যেমন দ্রুত গতিতে নিজের অক্ষের ওপর আবর্তন করে তেমনি অত্যন্ত ধীর গতিতে সূর্যের চারদিকে আবর্তন করে। এটা ততটাই স্লো ভাবে সূর্যকে পদক্ষিণ করে যে। সূর্যের চারদিকে একবার আবর্তন করতে এর প্রায় ২৯.৭ বছর সময় লাগে যায় , আর যেখানে পৃথিবীতে মাত্র ৩৬৫ দিন সময় লাগে।

১০/ পৃথিবীর সাথে তুলনা করা যায় না

আপনি কখনো পৃথিবীর সাথে শনি গ্রহের তুলনা করবেন না। কারন, প্রথমত শনিগ্রহ আমাদের থেকে দশ গুণ প্রশস্ত। তাছাড়া শনি গ্রহ এতটাই বড় যে এটা পৃথিবীর মতো ৭৫০ টি গ্রহ এর ভেতরে অনায়াসে ধারণ করে নিতে পারে।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই, আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন, সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।